রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
মোঃ আলমগীর হোসেন (আসিফ), হাইমচর প্রতিনিধিঃ হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের কৃষক মনির হোসেন নিজের আখখেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ফলন ভালো পেলেও হাইমচরে আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা। যার মূল কারণ মনে করা হচ্ছে, চাষে বেশি পরিশ্রম করতে হওয়া ও ফসল পেতে অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করাকে। কৃষকদের দাবি সরকার যদি সরাসরি তাঁদের থেকে আখ কেনার উদ্যোগ নিতেন, তাহলে তাঁরা লাভবান হতেন। এতে আখ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ত কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত বছর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হলেও এ বছর চাষ হয়েছে ৩৫ হেক্টরে। চাষাবাদ গত বছরের তুলনায় কমেছে ১০ হেক্টর জমিতে।
আলগী বাজারের আখ ব্যবসায়ী খালেক আখন বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আখ চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে পরিশ্রম অনেক বেশি। আবার আখের খেতে কাজ করার লোকও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। অন্যদিকে এসব আখের ন্যায্যমূল্য পেতে নিজেদের বাজারে গিয়ে কষ্ট করে বিক্রি করতে হয়। পাইকাররা খেতে কিনতে আসলে দাম কম বলে। যাতে করে খরচের তুলনায় তেমন লাভবান হওয়া যায় না। তাই গত বছর প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করলেও এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। সরকার যদি সরাসরি আমাদের কাছ থেকে আখ কেনার উদ্যোগ নিত তাহলে আখের সঠিক মূল্য পাওয়া যেত।
হাইমচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খন্দকার শাকিল বলেন, আখ চাষে যে সময় লাগে, সে সময়ে কৃষকেরা অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে আখের চেয়েও লাভবান হতে পারে। যার জন্য কৃষকেরা আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে।
এ ছাড়াও সরকারিভাবে অন্যান্য ফসলের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হলেও আখের জন্য দেওয়া হয় না। মূলত এসব কারণেই হাইমচরে আখ চাষ কমে যাচ্ছে।